শিরোনাম :
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৮ হাজার ৩ হাজার ২১৬ কোটি টাকার প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। দক্ষিণ আফ্রিকায় নারীদের একাধিক স্বামী রাখার প্রস্তাবে চরম বিতর্ক প্রথম সফরে আমিরাত গেলেন ইসরায়েলের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মগবাজারে বিস্ফোরণের ৪৪ ঘণ্টা পর মরদেহ উদ্ধার মরদেহ বিস্ফোরিত ভবনেই ছিল পরীমণির ধর্ষণ-হত্যাচেষ্টা মামলা : নাসির-অমির জামিন প্রকল্পের ২৫ লাখ টাকা বেঁচে যাওয়ায় কোষাগারে ফেরত দিলেন ইউএনও তুর্কি ড্রোন হট কেকের মতো বিক্রি হচ্ছে : ফরাসি পত্রিকা মগবাজারের বিস্ফোরণে শিশুকন্যা সুবহানাকে কোলের মধ্যে আগলে রেখো মৃত্যুর থেকে বাঁচতে পারেনি মা ও মেয়ে। আমাদের কাছে ৭,০০০ কিলোমিটার পাল্লার ড্রোন রয়েছে: ইরান
মগবাজারের বিস্ফোরণে শিশুকন্যা সুবহানাকে কোলের মধ্যে আগলে রেখো মৃত্যুর থেকে বাঁচতে পারেনি মা ও মেয়ে।

মগবাজারের বিস্ফোরণে শিশুকন্যা সুবহানাকে কোলের মধ্যে আগলে রেখো মৃত্যুর থেকে বাঁচতে পারেনি মা ও মেয়ে।

রাজধানীর মগবাজারে ভবন বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত ও আহত স্বজনদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে হাসপাতাল এলাকা। এ ঘটনায় আহতদের রাজধানীর কয়েকটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১৭ জন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৯ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। বিস্ফোরণের খবর দেখে হাসপাতালে নিখোঁজ স্বজনদের খুঁজছেন অনেকে। 

শিশুকন্যা সুবাহানা এবং স্ত্রী জান্নাতকে হারিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহাজারি করছিলেন সুজন। জরুরি বিভাগে ফোনে কাঁদতে কাঁদতে বারবার তিনি বলছিলেন, ‘আমার বউ-মেয়ে সব শেষ। আমার আর কেউ নাই রে, তোরা কে কোথায় আছোস হাসপাতালে আয়।’কান্নাজড়িত কণ্ঠে সুজন জানান, বিকালে স্ত্রী জান্নাত মোবাইলে তাকে জানিয়েছিলেন মেয়ে সুবাহানা ও ছোট ভাই রাব্বিকে নিয়ে মগবাজারে শর্মা হাউজে কর্মরত এক আত্মীয়ের সাথে দেখা করতে যাচ্ছেন। আত্মীয়ের সঙ্গে দেখা করে তাড়াতাড়ি বাসায় চলে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তারা আর ফিরল না। 

সুজন ঢাকার মগবাজারে রমনা ফার্মেসিতে কাজ করেন। ফার্মেসি থেকে একটু দূরেই সন্ধ্যায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। রাত ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেখা যায়, সুজন জরুরি বিভাগের সামনে আহাজারি করছেন। তিনি শুরুতে গিয়েছিলেন মগবাজারের কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে গিয়ে মেয়ে সুবহানার লাশ পান। হাসপাতাল সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মেয়ের লাশ হাসপাতালে রেখেই সুজন ছোটেন স্ত্রীর খোঁজে। তাঁর লাশ পান ঢাকা মেডিকেলে।

ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের সামনে মেঝেতে লুটিয়ে আহাজারি করতে করতে সুজন বারবার বলছিলেন, ‘আমার সব শেষ, আর কিছু রইল না। আমার আর বেঁচে থেকে কী হবে।’

স্বজনেরা জানান, সুজন স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে থাকতেন বড় মগবাজার এলাকায়। দুই বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়। তাঁর গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সুবর্ণচরে। কয়েক দিন আগে তাঁর শ্যালক রাব্বি বাসায় বেড়াতে আসে। গতকাল বিকেলে স্ত্রী জান্নাত তাঁর ভাইকে নিয়ে মগবাজারে শরমা হাউসে যাওয়ার কথা বলেন। এ জন্য সবুজের কাছ থেকে টাকাও নেন।

দয়া করে এই সংবাদটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরনো খবর

SatSunMonTueWedThuFri
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031   
       
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031   
       
  12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031  
       
   1234
567891011
12131415161718
19202122232425
2627282930  
       
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Crafted with by Softhab Inc © 2021
Translate »